ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসছে নির্বাচন কমিশন ইসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ নভেম্বর ২০১৮
  • ২৭৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে পুলিশের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

ইসি সচিব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসছি। সভা থেকে নির্বাচনের আগে-পরে ও ভোটের দিনের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু রাখতে ১২ দফা নির্দেশনা দেয়া হবে। এর মধ্যে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাসভবন ও অফিস কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে।’

ইসি সচিব বলেন, বিশেষ সভা থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনপূর্ব শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয় স্থির করা, নির্বাচনী আইনের বিধান প্রতিপালনের পরিবেশ তৈরি করা, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা। যাতে সকল প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় সমান সুযোগ পান। এছাড়া নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যেন নির্বিঘ্নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারেন-সেজন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যায়। বৈধ অস্ত্রের অপব্যবহারও বেড়ে যায়। এমনকি কিছু গোষ্ঠী বা আন্ডারগ্রাউন্ডের সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এগুলো রোধে পুলিশের করণীয় ঠিক করা হবে। এ সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার মাত্রা যাতে না বাড়ে সে বিষয়টিতেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেয়া হবে।

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অপর চার কমিশনার উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সভায় পুলিশের আইজি, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক ও পুলিশ সুপাররা (এসপি) উপস্থিত থাকবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, সীমান্তবর্তী ও দুর্গম এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ নজর থাকবে। জঙ্গি চক্র যাতে মাথাচাড়া না দেয় এ ব্যাপারে আলাদা নির্দেশনা থাকবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশেষ সভায় সেনাসদরের কোনো প্রতিনিধি থাকবে না বলেও জানান ইসি সচিব। বলেন, সেনা প্রতিনিধিদের প্রতীক বরাদ্দের পর আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকে ডাকা হবে। যে সভাটি আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে কি না-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, আমরা সবই কমিশনের নজরে আনছি। বিএনপি আজ যে চিঠি দিয়েছে সেটি নিয়ে কালকের কমিশন সভায় আলোচনা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের নতুন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেবেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কিছু নির্দেশনা দেয়া হবে।’

ধর্মীয় সভা আয়োজনে বাধ্যবাধকতা আরোপের বিষয়ে সচিব বলেন, ধর্মীয় সভা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়নি। আবেদন পাওয়া সাপেক্ষে রিটার্নিং অফিসার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সভার অনুমোদন দিতে পারে। তবে ধর্মীয় সভায় কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া যাবে না। এ ধরনের সভায় ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবে।

ফেসবুক মনিটরিং করার বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ২৬ নভেম্বর ইসি সকল মোবাইল অপারেটর ও বিটিআরসি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসা হবে। গুজব রোধ করে ভোটের দিনের পরিবেশ ঠিক রাখার বিষয়টি টেকনিক্যাল। ফলে এসব রোধে আমরা কি চাই আর তা কিভাবে করা সম্ভব-তা নিয়েই আমরা ওই দিন প্রাথমিক আলাপ করবো। তবে ভোটের দিন ফেসবুক বন্ধের আপাতত কোনো পরিকল্পনা ইসির নেই।

উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন করে বরাদ্দ না করার বিষয়ে সরকারকে চিঠি দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, পুরনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় করায় বাধা না থাকলেও নতুন কোনো প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না। কেউ কোনো ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করতে পারবেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও এ ধরনের কাজ করতে পারবেন না।

৯০ ভাগ পোস্টার বিলবোর্ড উঠে গেছে দাবি করে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বাকি ১০ ভাগ প্রচারণা সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনবল কাজ করছে। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চলছে। কোথাও কোথাও জরিমানাও আদায় করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শত ভাগ পোস্টার অপসারিত হয়ে যাবে বলেই মনে করছি।

প্রিজাইডিং অফিসারদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করার বিষয়ে করা এক প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, এটা সম্পূর্ণ রিটার্নিং অফিসারের এখতিয়ার। তিনিই প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেবেন। এক্ষেত্রে ইসি সচিবালয়ে কিছু করার নেই। তবে আমরা রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছে, কোনোভাবেই কোনো দলীয় ব্যক্তিকে যেন তারা প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ না দেন।

কোথায় কোথায় ইভিএমে ভোট হবে-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগামী শনিবার এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বসবো। আশা করা যায়, ওই দিনের বৈঠক থেকেই ইভিএম বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসছে নির্বাচন কমিশন ইসি

আপডেট টাইম : ০৬:০৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ নভেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে পুলিশের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

ইসি সচিব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসছি। সভা থেকে নির্বাচনের আগে-পরে ও ভোটের দিনের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু রাখতে ১২ দফা নির্দেশনা দেয়া হবে। এর মধ্যে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাসভবন ও অফিস কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে।’

ইসি সচিব বলেন, বিশেষ সভা থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনপূর্ব শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয় স্থির করা, নির্বাচনী আইনের বিধান প্রতিপালনের পরিবেশ তৈরি করা, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা। যাতে সকল প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় সমান সুযোগ পান। এছাড়া নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যেন নির্বিঘ্নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারেন-সেজন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যায়। বৈধ অস্ত্রের অপব্যবহারও বেড়ে যায়। এমনকি কিছু গোষ্ঠী বা আন্ডারগ্রাউন্ডের সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এগুলো রোধে পুলিশের করণীয় ঠিক করা হবে। এ সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার মাত্রা যাতে না বাড়ে সে বিষয়টিতেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেয়া হবে।

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অপর চার কমিশনার উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সভায় পুলিশের আইজি, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক ও পুলিশ সুপাররা (এসপি) উপস্থিত থাকবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, সীমান্তবর্তী ও দুর্গম এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ নজর থাকবে। জঙ্গি চক্র যাতে মাথাচাড়া না দেয় এ ব্যাপারে আলাদা নির্দেশনা থাকবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশেষ সভায় সেনাসদরের কোনো প্রতিনিধি থাকবে না বলেও জানান ইসি সচিব। বলেন, সেনা প্রতিনিধিদের প্রতীক বরাদ্দের পর আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকে ডাকা হবে। যে সভাটি আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে কি না-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, আমরা সবই কমিশনের নজরে আনছি। বিএনপি আজ যে চিঠি দিয়েছে সেটি নিয়ে কালকের কমিশন সভায় আলোচনা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের নতুন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেবেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কিছু নির্দেশনা দেয়া হবে।’

ধর্মীয় সভা আয়োজনে বাধ্যবাধকতা আরোপের বিষয়ে সচিব বলেন, ধর্মীয় সভা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়নি। আবেদন পাওয়া সাপেক্ষে রিটার্নিং অফিসার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সভার অনুমোদন দিতে পারে। তবে ধর্মীয় সভায় কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া যাবে না। এ ধরনের সভায় ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবে।

ফেসবুক মনিটরিং করার বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ২৬ নভেম্বর ইসি সকল মোবাইল অপারেটর ও বিটিআরসি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসা হবে। গুজব রোধ করে ভোটের দিনের পরিবেশ ঠিক রাখার বিষয়টি টেকনিক্যাল। ফলে এসব রোধে আমরা কি চাই আর তা কিভাবে করা সম্ভব-তা নিয়েই আমরা ওই দিন প্রাথমিক আলাপ করবো। তবে ভোটের দিন ফেসবুক বন্ধের আপাতত কোনো পরিকল্পনা ইসির নেই।

উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন করে বরাদ্দ না করার বিষয়ে সরকারকে চিঠি দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, পুরনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় করায় বাধা না থাকলেও নতুন কোনো প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না। কেউ কোনো ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করতে পারবেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও এ ধরনের কাজ করতে পারবেন না।

৯০ ভাগ পোস্টার বিলবোর্ড উঠে গেছে দাবি করে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বাকি ১০ ভাগ প্রচারণা সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনবল কাজ করছে। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চলছে। কোথাও কোথাও জরিমানাও আদায় করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শত ভাগ পোস্টার অপসারিত হয়ে যাবে বলেই মনে করছি।

প্রিজাইডিং অফিসারদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করার বিষয়ে করা এক প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, এটা সম্পূর্ণ রিটার্নিং অফিসারের এখতিয়ার। তিনিই প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেবেন। এক্ষেত্রে ইসি সচিবালয়ে কিছু করার নেই। তবে আমরা রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছে, কোনোভাবেই কোনো দলীয় ব্যক্তিকে যেন তারা প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ না দেন।

কোথায় কোথায় ইভিএমে ভোট হবে-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগামী শনিবার এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বসবো। আশা করা যায়, ওই দিনের বৈঠক থেকেই ইভিএম বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবো।